রাজধানীর আদাবর এলাকার একটি বাসা থেকে এক গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন করেছিলেন বলে দাবি করেছেন তাঁর স্বামী। তবে কী কারণে তাঁর স্ত্রী এই ওষুধ খেয়েছেন, সে বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন।
আজ বুধবার ভোরের দিকে আদাবর ৫ নম্বর রোডের সি ব্লকের বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় স্বজনেরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওই গৃহবধূর নাম ইপসিতা নাগ (২৮)। তিনি টাঙ্গাইল জেলার বাসাইল থানার সৈদামপুর গ্রামের পীযূষ নাগের মেয়ে। তাঁর স্বামী বিপ্লব সরকার। পেশায় প্রাইভেট কারচালক।
হাসপাতালে আসা গৃহবধূর স্বামী বিপ্লব সরকার জানান, তাঁরা আদাবর চন্দ্রিমা মডেল টাউনের ওই বাসায় স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে ভাড়া থাকেন। তিনি নিজে বাড়ায় প্রাইভেট কার চালান। তাঁর স্ত্রী ইপসিতা নাগ গৃহিণী।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে পাশাপাশি দুই রুমে দুজন ছিলাম। ভোরে আমার স্ত্রী মোবাইল ফোনে মেসেজ দিয়ে জানায় সে অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়েছে। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এলে মারা যায়।’
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। তবে কী কারণে ওই গৃহবধূ ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন, সে বিষয়ে কিছুই জানাতে পারে নাই স্বজনেরা।’