ঈদ শেষে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীমুখী মানুষের ঢল রয়েছে ঢাকার প্রবেশপথ গাবতলীতে। একজন দুজন করে হেঁটে কিংবা মোটরসাইকেল বা বাইসাইকেলযোগে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী এসব মানুষ।
সরেজমিনে রাজধানীর প্রবেশপথ মিরপুর, গাবতলী, আমিনবাজারে দেখা যায়, রাজধানীতে ফেরা মানুষের ঢল কমেনি আজও।
বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত জসিম উদ্দিন বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত এসেছি দুই হাজার টাকা খরচ করে। আর আমিনবাজার ব্রিজ থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত রিকশা ভাড়া চাচ্ছে ৫০০ টাকা।’
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউনে বন্ধ আছে গণপরিবহন। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে চাকরি বাঁচাতে ঢাকামুখী বিভিন্ন জেলার মানুষ। তিন গুণ ভাড়া বেশি দিয়ে ঢাকায় আসার পরও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বাস বন্ধ থাকায় বেশির ভাগ মানুষই ফিরছেন ব্যক্তিগত গাড়িতে। তবে প্রবেশমুখে ছিল পুলিশের কড়াকড়ি। চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা জরুরি পরিষেবা ব্যতীত অন্য কোনো গাড়ি শহরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না।
মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'যাঁরা ঈদের ছুটি শেষে বাসায় ফিরতে চাচ্ছেন, তাঁদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ঢাকায় ঢোকার পর আবার কেউ বের হলে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। অযথা মানুষ কম বের হচ্ছে। কেউ বিনা প্রয়োজনে বের হলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দুপুর পর্যন্ত মিরপুর বিভাগের পুলিশ ১২০ জনেক গ্রেপ্তার করেছে।'