কঠোরতম লকডাউনের চতুর্থ দিন সোমবার ঢাকার সড়কগুলোয় প্রাইভেট কার ও রিকশা বেশি চলছে। পণ্যবাহী যানবাহন এদিন খুব একটা দেখা যায়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে কিছু মোটরসাইকেল চলাচল করছে। সকালে অফিস শুরুর সময়ের পর থেকে সড়কে মানুষও খুব বেশি নেই।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সব সড়কেই জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রাইভেট কার চলছে। কেউ কেউ ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হলেও পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়ছেন। অন্য দিনের মতো বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যারিকেড বসিয়ে কেউ বিনা প্রয়োজনে বের হয়েছেন কি না, তা যাচাই করে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
সোমবার বনানী ও তেজগাঁও চেকপোস্টে অপেক্ষা করে দেখা যায়, জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যানবাহনগুলো আলাদা লাইনে পার হয়ে যাচ্ছে। জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন গাড়িগুলোকে আলাদা লাইনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। যাঁরা বিনা প্রয়োজনে বের হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
তেজগাঁও চেকপোস্টে দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সোমবার পণ্যবাহী গাড়ি খুব কম চলছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঈদের ছুটির পর অনেক মানুষ এখনো ঢাকায় ফেরেনি। ফলে বিভিন্ন পণ্যের চাহিদাও কম। তাই সড়কে পণ্যবাহী গাড়ি খুব একটা নেই।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সোমবার প্রাইভেট কারই বেশি চলছে। এর সঙ্গে প্রতিটি সড়কেই রিকশা রয়েছে। মোটরসাইকেলগুলোকে থামিয়ে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের চলাচল করতে দিচ্ছি।’
গাবতলী হয়ে ঢাকামুখী সব যানবাহন গাবতলী ব্রিজের চেকপোস্টে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গাবতলী দিয়ে যাঁরা ঢাকা ছাড়ছেন চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে রোববার পুলিশের চেকপোস্টগুলোয় গাড়ির জট দেখা গেলেও সোমবার কোনো চেকপোস্টে গাড়ির জট চোখে পড়েনি। এদিন ঢাকার বিভিন্ন সড়কে সেনাবাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও চোখে পড়েনি।