আপিল নিষ্পত্তির আগেই চুয়াডাঙার দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে বলে আলোচনা শুরু হয়েছে। আসামিদের একজনের আইনজীবী আসিফ হাসান অভিযোগ করেন, মামলাটি শুনানির জন্য গত বুধবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তিনি জানতে পারেন, আপিল নিষ্পত্তির আগেই ২০১৭ সালে দুজনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
যে দুই আসামি নিয়ে আলোচনা, তাঁরা হলেন—আবদুল মোকিম ও গোলাম রসুল ওরফে ঝড়ু। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ১৯৯৪ সালের ২৮ জুন সাবেক ইউপি মেম্বার মো. মনোয়ার হোসেন খুন হন। বিচার শেষে ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—একই ইউনিয়নের তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, মোকিম ও ঝড়ু। বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুসারে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। হাইকোর্ট মোকিম ও ঝড়ুর মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে ২০১৩ সালে রায় ঘোষণা করেন। পরে তাঁরা এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক মো. সগির মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ঠিক না। সব আইনি প্রক্রিয়া মেনেই তাঁদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।’
মো. সগির মিয়া জানান, বিচারিক আদালতের পর হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগে ওই মৃত্যুদণ্ডের আদেশ বহাল ছিল। রাষ্ট্রপতির কাছে তাঁদের প্রাণ ভিক্ষার আবেদনও নাকচ হয়। এরপরই সব নিয়ম মেনে এবং যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আদালত, কারাগার, মন্ত্রণালয়সহ সবখানেই এসব নথি সংরক্ষিত রয়েছে।’
সব নিষ্পত্তি হওয়া পর কী করে এই মামলা কার্যতালিকায় এল? জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানি না। না জেনে কোনো কিছু বলা ঠিক হবে না।’