রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নিহত হওয়ার জেরে সড়কে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুইটি মামলা করেছে। বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা এই মামলা দুইটিতে ৭৫০–৮০০ জন অজ্ঞাত ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’র নামে মামলা হয়েছে।
গতকাল আলাদা আলাদাভাবে হাতিরঝিল থানায় মামলা দুটি করেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কে এম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা ও রামপুরা থানার এসআই মারুফ হোসেন। হাতিরঝিল থানা ও রামপুরা থানা আলাদা আলাদাভাবে মামলা দুইটির কথা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা ডিআইটি সড়কে মোল্লা টাওয়ারের সামনে ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’ বেআইনিভাবে সমাবেশ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সড়কে চলমান গাড়ি ভাঙচুর ও পেট্রলবোমা দিয়ে গাড়িতে আগুন এবং পথচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করে। এ সময় সাতটি গাড়ি অগ্নিসংযোগ ও চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে আনুমানিক ৪৮ লাখ টাকা ক্ষতি হয়।
এর আগে গত সোমবার রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবনের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এই ঘটনার পর সেখানে অনাবিলের বেশ কয়েকটি বাস আটকে ভাঙচুর করে ও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।