রাজধানীর শান্তিবাগ এলাকায় ছুরিকাহত এক শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কাকরাইল অরোরা স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে শান্তিবাগ রবিউলের বিরানী দোকানের সামনে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় নিহতের তিন কিশোর সহপাঠীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত ইসমাঈল হোসেন রাহাতের (১৭) বাড়ি ফরিদপুর কোতয়ালীর ঘাটপাড়া গ্রামে। এক ভাই, এক বোনের মধ্যে রাহাত ছিল বড়। রাহাতের বাবা বেলায়েত হোসেন পেশায় প্রাইভেটকার চালক।
বর্তমানে তারা শাহজাহানপুর শান্তিবাগ এসি মসজিদ গলি এলাকায় ভাড়া থাকে। রাজারাবাগ পুলিশ লাইন স্কুল কলেজ থেকে এসএসসি পাসের পর ফরিদপুর টেক্সটাইল কলেজে ভর্তি হয়েছিল।
রাহাতের মামা মইন উদ্দিন জানান, গতকাল বিকেলে শান্তিবাগ বাসার কিছুটা দূরে রাহাতের স্কুলের সহপাঠীরা মারপিট করে ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় রাহাতকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাসায় নেওয়া হয়। রাতে হঠাৎ রাহাতের অবস্থা খারাপ হলে কাকরাইলের অরোরা হাসপাতালে নিয়ে গেলে মারা যায়।
শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, সিনিয়র জুনিয়র দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মারা যায় রাহাত। এই ঘটনায় রাহাতের বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মরদেহ ঢামেকে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।