রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলারপাড় এলাকায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত যুবকের নাম মো. আরিফ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে তাকে আরও ছয় মাস কারাভোগ করতে হবে বলে ট্রাইব্যুনাল রায় বলেছেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়।
এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ভিকটিমের দুই বান্ধবীসহ তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ে খালাস পাওয়া তিন আসামি হলেন ধর্ষিতার দুই বান্ধবী ফাতেমা আক্তার শান্তা ও আরিফা আক্তার ইতি এবং শান্তার ভাই শিপন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ৭ জুন সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে ভিকটিমের দুই বান্ধবী তাকে শান্তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে চকলেট খেতে দেয়। চকলেট খাওয়ার পর সে অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে এবং তাঁর ঘুম ঘুম ভাব হয়। সকাল ১০টার দিকে আরিফ শান্তাদের বাসায় আসে। তারপর তাকে ধর্ষণ করে। অপর তিন আসামি সেই অশ্লীল ছবি ধারণ করে। পরে হুমকি-ধমকি দিয়ে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা যাত্রাবাড়ী থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম।
২০১২ সালের ৮ অক্টোবর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।