হোম > সারা দেশ > ঢাকা

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত শ্রমিকের ক্ষতিপূরণের পরিমাণ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণের সুপারিশ জানিয়েছে শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ সুপারিশ জানায় সংগঠনটি।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশন ১০২ ও ১২১ অনুসমর্থন, বাংলাদেশ শ্রম আইন ৫ম তফসিল ও দ্বাদশ অধ্যায় সংশোধন এবং মামলার দীর্ঘসূত্রতা দূরীকরণ ও দ্রুত নিষ্পত্তিতে বিচার প্রক্রিয়ায় বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইনে সংযোজন করার সুপারিশ জানিয়েছেন তারা। এ ছাড়া শ্রম আদালতের সংখ্যা বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়াসহ প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শ্রম আদালতের কার্যক্রম নিয়মিত পূর্ণ সময় পরিচালিত করারও সুপারিশ করা হয়। 

আলোচনা সভায় আইনজীবী, ট্রেড ইউনিয়ন, মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিও সুপারিশ তুলে ধরে হয়েছে। শ্রমিকদের আইনগত সহায়তা প্রদানে আইনজীবীদের আরও কার্যকরী ভূমিকাসহ শ্রমিকদের মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবেদনশীল ভূমিকা রাখা, ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণে ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করা, শ্রমিকদের আইনগত সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তাসহ শ্রম আইন সংশোধনীতে জোরালো ভূমিকা রাখার সুপারিশ জানানো হয়। 

মালিকদের আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের অধিকার, নিরাপদ কর্মস্থল ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা রাখা এবং শ্রমিকদেরও নিজ অধিকার রক্ষায় আরও সচেতন ও আইন অনুযায়ী অধিকার বাস্তবায়নে শান্তিপূর্ণভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকার সুপারিশ জানান আয়োজকেরা। 

আলোচনা সভায় শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের নেতা কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের দেশের কারখানা মালিকেরা শ্রমিকের নিরাপত্তার ব্যাপারে খুবই উদাসীন। এদের মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে মুনাফা অর্জন।’ 

সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘শ্রম আইন পুনঃপরীক্ষা করতে হবে। বিদ্যমান আইনে শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত বিধিবিধান যথাযথ নয়। আমাদের শ্রম আইনটা এতটাই জটিল যে, এর সরল কোনো ব্যাখ্যা দেওয়াই সম্ভব নয়। ২৩,২৬, ২৭ ধারার মতো যে আইনে শ্রমিকদের শাস্তির বিধান আছে, সেগুলো যথাযথ মানা হয়। কিন্তু ওভারটাইমসহ শ্রমিক স্বার্থের পক্ষের আইনগুলো মালিকেরা মানেন না।’ 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শামসুন্নাহার ভূঁইয়া বলেন, ‘২০১৩ সালে বিভিন্ন কল-কারখানায় যে অবস্থা ছিল, তা কিছুটা বদলেছে। আমরা শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মস্থল চাই। ১৯৮৪ সালে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ যেভাবে দাবি তুলেছিল, সেই আন্দোলন কোথায়? শ্রমিক ইউনিয়নগুলো কোথায়? ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন ছাড়া শ্রমিকের মুক্তি সম্ভব নয়।’ 

শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের আহ্বায়ক ড. হামিদা হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের যুগ্ম মহাসচিব ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, কর্মজীবী নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক বেবী, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম আশরাফ উদ্দিন প্রমুখ। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে তীব্র যানজট

গজারিয়ায় পুলিশের টহল গাড়িতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কা, সার্জেন্টসহ আহত দুই

রাজবাড়ীতে চাঁদাবাজির সময় গণপিটুনিতে সম্রাট বাহিনীর প্রধান নিহত

সুজনের গোলটেবিলে পর্যবেক্ষণ: ভোটের খরচ না কমলে দুর্নীতিও কমবে না

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট

মগবাজারে ককটেল বিস্ফোরণে নিহতের মরদেহ ঢামেক মর্গে

মণিপুরীদের জীবনধারার আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সময় বাড়ল

চীন নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য পুরস্কার পেলেন ২৯ সাংবাদিক

গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি অঙ্গনে হামলা পরিকল্পিত মতাদর্শিক সন্ত্রাস: আনু মুহাম্মদ

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা: গ্রেপ্তার আরও ৩, ডিআরইউর মানববন্ধন