মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. সাইফুজ্জামান শিখরের স্ত্রী সীমা রহমানের দুটি প্লট, একটি গাড়ি জব্দ এবং তাঁর ব্যাংক হিসাব ও সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনে আদালত এই নির্দেশ দেন বলে জানান দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
দুদকের উপসহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন সাবেক সংসদ সদস্যের স্ত্রী সীমা রহমানের স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের আবেদন জানান।
দুদকের আবেদন অনুযায়ী, সীমা রহমানের ঢাকার কেরানীগঞ্জের ঝিলমিল আবাসিক প্রকল্পের ৫ কাঠা জমি যার মূল্য ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ৫ কাঠার প্লট, যার মূল্য ১৪ লাখ টাকা—জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর একটি প্রাইভেট কার, যার মূল্য ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা জব্দ এবং দুটি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৫ লাখ ৬০ হাজার ৩২৯ টাকা ও ১০ লাখ টাকার একটি সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান শিখর ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। যা তিনি ও তাঁর স্ত্রী ভোগ দখল করছেন। সাইফুজ্জামানকে তাঁর স্ত্রী অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করেছেন।
এ ঘটনায় দুদক গত ৭ জানুয়ারি সীমা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলা তদন্তকালে দুদক বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছে, সীমা রহমানের নামে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অন্যত্র বিক্রি, হস্তান্তর বা স্থানান্তরের চেষ্টা করছেন। মামলার ভবিষ্যৎ কার্যক্রম এবং অবৈধ সম্পদ সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার জন্য এসব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দ এবং অবরুদ্ধ করার নির্দেশনা প্রয়োজন।