রাজধানীর শ্যামলী এলাকায় এক যুবকের কাছ থেকে চাপাতির মুখে মোবাইল, মানিব্যাগ, এমনকি জামা-জুতা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে ঢাকা ও ভোলার চরফ্যাশন থেকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ডিবির তেজগাঁও বিভাগের ভারপ্রাপ্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ রাকিব খাঁন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল গ্রেপ্তার দুজন হলেন আসলাম ও আল-আমিন। এর আগে কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে আসলাম ও আল-আমিন সরাসরি ছিনতাইয়ে অংশ নেন, আর কবির গ্রুপটির অন্যতম নেতা।
পুলিশ জানায়, এই তিনজনই ‘জহির গ্রুপ’ নামে একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সদস্য। এই চক্রের প্রধান জহির ছিনতাইয়ের জন্য চাপাতি ও মোটরসাইকেল ভাড়া দেন। গ্রেপ্তার আসলাম ও আল-আমিন ছিনতাই করে মালামাল কবির ও জহিরের কাছে জমা দিতেন। অভিযানে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও চাপাতিও উদ্ধার করেছে ডিবি।
অন্যদিকে ছিনতাইয়ে সরাসরি জড়িত আরও একজন এবং চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ছিনতাইয়ের শিকার যুবক শিমিয়ন ত্রিপুরা ধামরাইয়ের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন এবং শ্যামলীতে থাকেন। গত শুক্রবার ভোরে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে শ্যামলী ২ নম্বর সড়কে তিনি ছিনতাইয়ের শিকার হন।
ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ভিডিওতে দেখা যায়, ভোররাত ৬টার দিকে ছাতা হাতে এক যুবক হেঁটে যাচ্ছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে করে তিনজন এসে তাঁকে থামিয়ে দেন।
বাইকে থাকা দুজন নেমে এসে চাপাতি উঁচিয়ে তাঁর মোবাইল, মানিব্যাগ ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। এরপর তাঁরা যুবকের জামা ও জুতা খুলে নিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই সরে পড়েন। ভিডিওতে দুজনকে হেলমেট পরা অবস্থায় এবং একজনকে খালি গায়ে দেখা যায়।