হোম > সারা দেশ > ঢাকা

তবু যেতে হচ্ছে কর্মস্থলে, ভ্যানই এখন গণপরিবহন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দৈনিক বাংলা, ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিল–বলে উচ্চ স্বরে যাত্রী ডাকছেন ভ্যানওয়ালারা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ কয়েক উঠে বসলেন ভ্যানে। সাত কি আটজন যাত্রী হওয়ার পরই চলতে শুরু করল ভ্যান। আজ বুধবার সকালে খিলগাঁও রেলগেটে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

ভ্যানের এক যাত্রী আবুল খায়ের মো. সবুজ। মতিঝিলে একটি বায়িং হাউসে চাকরি করেন তিনি। আবুল খায়ের বলেন, খিলগাঁও থেকে মতিঝিলের রিকশা ভাড়া একশ টাকার বেশি চায়। মাসের শেষ, হাতে টাকা নাই। প্রতিদিন আড়াই শ টাকা রিকশা ভাড়া দেওয়ার মতো সামর্থ্য নাই। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘লকডাউন, কিন্তু সবই তো খোলা। সবারই তো কাজে যাইতে হচ্ছে। সবার তো গাড়ি নাই, রিকশাতেও চলার সামর্থ্য না থাকতে পারে।’

আরেক যাত্রী হাবিবুল্লাহ বাহার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী ইহতেশাম ফারুক, পল্টনে একটি মানবসম্পদ রপ্তানি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘ঈদের পরে প্রতিষ্ঠান দেখাশোনার দায়িত্ব আমার। তেমন কাজকর্ম না থাকলেও যেতে হয়। আগে লেগুনায় যেতাম। এখন প্রতিদিন রিকশায় অনেক ভাড়া লাগে, তাই ভ্যানে যাই।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় ঈদের পর থেকে কঠোরতম বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। এই ১৪ দিনের লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি–বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। বরাবর লকডাউনে রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা চালু রাখা হলেও এবার সেগুলোও বন্ধ।

কিন্তু বাস্তবে এর মধ্যেই খুলে গেছে অনেক অফিস, কারখানা। বাইরে তালা লাগিয়ে ভেতরে কারখানা চালু রাখার একাধিক খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসেছে। কিন্তু সব ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকায় কর্মস্থলে যেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কর্মজীবীদের। অফিসগামী এই মানুষদের অভিযোগ, লকডাউনে রিকশার ভাড়া বেড়েছে দ্বিগুণ। উপায়ন্তর না পেয়ে অনেক পায়ে হেঁটেই যাচ্ছেন নিজ নিজ কর্মস্থলে। আবার কয়েকজন মিলে চড়ছেন ভ্যানে। লকডাউনে বিপাকে পড়া কর্মজীবীদের এখন ভরসার গণপরিবহন ভ্যান।

এদিকে কঠোরতম বিধিনিষেধের সাত দিনের মাথায় রাস্তায় রিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কারের পাশাপাশি নানা কাজে বাইরে বের হওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। বাইরে বের হওয়া মানুষেরা বলছেন, ঈদের পর কয়েক দিন কর্মস্থল বন্ধ থাকলেও এখন কাজ শুরু হয়ে গেছে। যারা এখনো ফেরেনি তাদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

খিলগাঁওয়ের এক ট্রাফিক পুলিশ জানান, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ রাস্তায় রিকশা ও গাড়ির সংখ্যা বেশি। মোটরসাইকেলের পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে। এর কারণ হিসেবেও তিনি কর্মস্থল খোলা থাকার বিষয়টিকে দায়ী মনে করছেন।

তিলপাপাড়ার কাপড়ের ব্যবসায়ী আবদুস সালাম যাচ্ছিলেন সদরঘাট। তাঁর কাছে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অপ্রয়োজনে যারা বের হয় তারা গলি বা এলাকার মধ্যেই থাকে। বাইরে যারা বের হচ্ছে জীবিকার তাগিদেই বের হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

তোপখানায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

হাদির মরদেহ জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে, রাখা হবে হিমঘরে

হাদির জানাজা আগামীকাল বেলা আড়াইটায়, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়

‎হাদি হত্যার বিচার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

হাদির হত্যাকাণ্ডকে ‘ব্যবহার করে’ উচ্ছৃঙ্খলতার নিন্দা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন আইজিপির