বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে এতদঞ্চলের মানুষের শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছিল তা অনেকটাই পুষিয়ে দিয়েছে দিতে পেরেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এ মন্তব্য করেছেন। আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অন্যতম অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আনিসুল হক বলেন, ''ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরবচ্ছিন্নভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে বাঙালি জাতিকে বহু অজানা ও নতুন পথ দেখিয়েছে। কীভাবে অধিকার ও স্বাধিকার অর্জন করতে হয়, কীভাবে স্বাধীনতা অর্জন করতে হয় এবং পরিচালনা করতে হয় তা উর্বর ও তীক্ষ্ণ মস্তিষ্কে বিস্তরভাবে শিখিয়েছে। সে কারণে বাঙালি জাতি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, '৫২ এর ভাষা আন্দোলন, '৬৬ এর ছয় দফা, '৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, '৭০ এর নির্বাচন এবং '৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে সফল হয়েছে। আর সমগ্র আন্দোলনের সূতিকাগার হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।"
মন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর ৫৬ ভাগ মানুষের ভাষাকে উপেক্ষা করে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করতে শিখিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ ছাড়া স্বাধীনতা অর্জনের আগে ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিক সংগ্রাম, ছাত্রলীগের অভিযাত্রা, নারী জাগরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এবং স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদানের কথা উল্লেখ করেন আইনমন্ত্রী।
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ এফ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেলের আলোচনা পর্বে আরও বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, ডাকসুর সাবেক সহ সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার। এবং সম্মানীয় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।