'এক লগে তেল ডাইল চিনি ছাড়া লওয়া যায় না। কিনলে সবগুলাই কিনতে হয়। আমার তো ঘরে চিনি আছে তাই তেল আর ডাইলডা রাইখা চিনিডা বেইচ্যা দিমু। যার যেইডা দরকার নাই সে ওইডা বেইচ্যা দিব আর যার দরকার সে কিন্না লইব। তাইলে আমরা মিলামিশা বাঁচতে পারমু।' ঠিক এভাবেই বলছিলেন বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়ানো মামুন নামের এক ব্যক্তি।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় টিসিবির ট্রাকসেলে পণ্য বিক্রির সময় এসব কথা বলেন মামুন।
লাইনে দাঁড়ানো আরেক বৃদ্ধা হাসেনা বানু বলেন, এখান থেকে অল্প দামে যা পাই এগুলা দিয়ে খেয়ে বেঁচে কোনোরকম আছি। তাদের জন্য আমরা অল্প দামে এগুলো কিনতে পারি। তবে তারা কখন আসেন তা কেউ জানেন না বলেও ক্ষোভ জানান বৃদ্ধা হাসেনা বানু।
পণ্য কিনতে আসা আরেকজন রাসেল মিয়া। তিনি বলেন, `এখন তেল দেওয়া হচ্ছে দুই কেজি, ডাল দুই কেজি আর চিনি দুই কেজি। ডাল আর চিনির পরিমাণটা ঠিক আছে। কিন্তু তেলের পরিমাণ খুব কম হয়ে যায়। তেলটা একটু বেশি লাগে। যদি তেলের পরিমাণটা বাড়ায়, তাহলে আমাদের জন্য আরেকটু উপকার হয়। টিসিবির পণ্যের মাধ্যমে আমরা কম দামে এগুলো কিনতে পারছি।' এর জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
প্রতিদিন ট্রাকসেলে মোট ৭০০ কেজি চিনি, ৭০০ লিটার তেল ও ২০০ কেজি ডাল সুলভ মূল্যে বিক্রয় করা হয়। শুক্রবার ব্যতীত সপ্তাহে প্রতিদিন আসেন বলে জানান ট্রাকসেলে বিক্রেতারা।