ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের হাজতখানায় মামলার আলামত ধ্বংস করার চুল্লিতে আগুন লাগে। পরে পাঁচ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিষিদ্ধ পলিথিন ধ্বংসের সময় আগুনের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সেখানে আসে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
ঢাকার আদালতের আইনজীবী গাজী হাসান মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটাকে আসলে আগুন লেগেছে বলা যায় না। নিষিদ্ধ পলিথিন ধ্বংস করতে গিয়ে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যায়। আদালত এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
অ্যাডভোকেট সেঁজুতি ঘোষ, কাজল রায় ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসার পর তারা অল্প সময়ের মধ্যে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।
ফায়ার সার্ভিসের সদরঘাট স্টেশনের উপপরিচালক জহিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খবর পেয়ে বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে আমাদের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এরপর পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।’
আগুন লাগার কারণ জানিয়ে জহিরুল ইসলাম বলেন, আদালতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আলামত ধ্বংসের চুল্লিতে দাহ্য পদার্থ নিষিদ্ধ পলিথিনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এখানে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়া, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।