রামপুরার একটি বাসা থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ এক গৃহকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। গ্রেপ্তারকৃত ওই গৃহকর্মীর নাম নুপুর আক্তার। গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, অনলাইন মাধ্যমে যোগাযোগ করে ১০ হাজার টাকা বেতনে রামপুরার একটি বাসাতে কাজ শুরু করেন নূপুর। কাজে ঢোকার তিন দিন পর বাসাটি থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, টাকাসহ পালিয়ে যান।
চুরির ঘটনায় রামপুরা থানায় মামলা হলে গত শনিবার পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় কুমিল্লার লাকসাম থেকে নূপুরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। আজ রোববার দুপুরে এবিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, রাজধানীতে ফেসবুক গ্রুপসহ অনলাইন মাধ্যমের সহায়তায় অনেকেই গৃহকর্মী নিয়োগ দিচ্ছেন। তথ্য যাচাইবাছাই ছাড়া বাসাবাড়িতে নিযুক্ত গৃহকর্মীর মাধ্যমে ঘটছে চুরি-ডাকাতিসহ নানান অপরাধ। এ অবস্থায় গৃহকর্মী নিয়োগের সময় তাদের বিস্তারিত তথ্য ও ছবি নিকটস্থ থানায় জমা দিতে আহ্বান জানান তিনি।
ঘটনার বর্ণনায় যুগ্ম কমিশনার দক্ষিণ মাহবুব আলম জানান, রামপুরার একটি বাসায় ১৯ জুলাই অনলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নূপুর নামের এক গৃহকর্মী নেওয়া হয়। ঈদের দুই দিন পর ২৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসাটি থেকে সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণালংকার ও কিছু টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনার মামলার সূত্রে, গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে নূপুরকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চুরি যাওয়া একটি স্বর্ণের চুড়ি, একটি স্বর্ণের চেইন, একটি স্বর্ণের আংটি ও নগদ টাকা।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, এই ধরনের চুরি-ডাকাতির ঘটনায় আমাদের আসামিদের গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারে বেগ পেতে হয়। কারণ, ডিএমপির তথ্যভান্ডারে বা ভাড়াটিয়ার কাছে গৃহকর্মীর তথ্য থাকে না। ছবিসহ তথ্য পেলে তাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার সহজ হয়।
তিনি আরও বলেন, বাসাবাড়িতে গৃহকর্মী বা দারোয়ান নিয়োগ দিলে নিকটস্থ থানা-পুলিশকে জানান। তাহলে যেকোনো অপরাধে তাদের দ্রুত আটক করা সম্ভব।