ঘরে-বাইরে এখন সর্বত্র ব্যবহার হচ্ছে প্লাস্টিকের বোতল। আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্লাস্টিকের নানা সামগ্রী ব্যবহার করছি। কিন্তু এসব প্লাস্টিকের জিনিসপত্র আমাদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদ, চিকিৎসক ও সচেতন মহল।
সরেজমিনে সখীপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভাসহ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাটবাজারগুলোয় যত্রতত্র প্লাস্টিকের বোতল ফেলে রাখা হয়েছে। এসব বোতলের মধ্যে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। অনেক সময় বোতলগুলো জমাট বেঁধে শহরের পানিনিষ্কাশনের নালা বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারের একাধিক স্থানে ভাঙারি ব্যবসায়ীরা প্লাস্টিকের খালি বোতল কিনে স্তূপ করে রেখেছেন।
উপজেলার নলুয়া এলাকার ভাঙারি ব্যবসায়ী আবদুস সাত্তার জানান, একশ্রেণির ব্যবসায়ী গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের খালি বোতল কিনে এনে খুচরা বিক্রি করেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বোতলগুলো পরিষ্কার করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে বোতলগুলো ঢাকায় পাঠানো যাচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. নাজমুল হাসান মাসুদ খান বলেন, ‘প্লাস্টিকের খালি বোতলে জমে থাকা পানি ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার জন্য উত্তম প্রজননক্ষেত্র। এসব খালি বোতল যেখানে-সেখানে ফেলার কারণে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। এ জন্য আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। তা না হলে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।’