কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন একটি সর্বজনীন জনসম্পদ। এটি গণমানুষের টিকা। টিকা মুনাফার জন্য নয়, জীবন বাঁচানোর জন্য। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স–বাংলাদেশ আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে সংগঠনটি এ তথ্য জানিয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার কোভিড প্রতিরোধে প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। শুরু থেকেই সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ট্রিপস ওয়েভারের দাবি জানানো হচ্ছে। এ পর্যন্ত টিকা কেনার জন্য প্রায় সাত হাজার কোটি টাকার ‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেপন্স এ্যান্ড প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৫০ কোটি ডলার ঋণের অনুমোদন পেয়েছে। এই অর্থ দেশিয় মুদ্রায় ৪ হাজার ২৫০ কোটি টাকার মতো। এছাড়া এডিবি ও জাইকাসহ অন্যন্য ঋণদাণকারী সংস্থার কাছে ঋণপাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে।
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার এ পর্যন্ত ২ বিলিয়ন ডলার টিকা কেনা, পরিবহন, সংরক্ষণ ও দেওয়ার খাতে খরচ করার পরিকল্পনা করেছে। ইতোমধ্যে ৭০ ভাগ মানুষ টিকা পেয়েছেন। এটা পুরোটাই ঋণের টাকা। এই বিপুল পরিমাণ ঋণ রাষ্ট্রকে পরিশোধ করতে হবে। ফলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবার মতো জনকল্যানমূলক খাত থেকে বাজেট কমিয়ে আনতে হবে। অথচ বাংলাদেশের ফার্মসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর এই টিকা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে।