দীর্ঘ ছয় মাস কারাভোগের পর হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাশ। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ঝুমন দাশের আইনজীবী জেড আই খান পান্না জানান, আদালত ঝুমন দাশকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন। তবে এই এক বছরে তিনি সুনামগঞ্জের বাইরে যেতে পারবেন না বলে আদালত আদেশে বলেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, তবারক হোসেন, জেড আই খান পান্না, নাহিদ সুলাতানা যুথি ও মো. আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
এর আগে গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের বেঞ্চ আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।
গত ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতে ইসলাম শানে রিসালাত নামে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে সাবেক হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হকের ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঝুমন দাশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি হেফাজতের দৃষ্টিতে আপত্তিকর মনে হলে তারা পরদিন এর প্রতিবাদে সমাবেশ করে। একই দিন নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। উত্তেজনা দেখা দিলে ওই দিন রাতেই নোয়াগাঁও গ্রামবাসী ঝুমনকে পুলিশে ধরিয়ে দেন।
আটকের পর শাল্লা থানার উপপরিদর্শক আবদুল করিম ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় ৩ আগস্ট বিচারিক আদালতে জামিন খারিজ হলে ২২ আগস্ট হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।