পোশাকশ্রমিক ইমনের স্কুলজীবনের বন্ধু রাশেদুল ইসলাম রাশু। এই রাশুর সঙ্গ ইমনকে মাদকে জড়িয়ে দেয়। স্কুল থেকে ঝরে পড়া ইমন কাজ শুরু করে গার্মেন্টসে। এরই মধ্যে বন্ধু রাশুর প্রেমিকার সঙ্গে ইমনের প্রেম শুরু হয়। এরই জের ধরে রাশু ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘ইমনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে গ্রেপ্তার দুই হত্যাকারী। ইমনসহ হত্যাকারীরা সবাই একই স্কুলে পড়ত। গত কয়েক বছর ধরে মাদক সেবন ও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। পরে পোশাকশ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করে।’
ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে রাশেদুল ইসলাম রাশু ও ইমনের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। এ নিয়ে ইমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে রাশু। ৭ জুলাই ইমনকে ফোন করে বাসা থেকে ডেকে নেয় রাশু। ডেকে নিয়ে রাশু জানতে চায়, কেন তাঁর প্রেমিকাকে ইমন বকা দিয়েছে, ডিস্টার্ব করে। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রাশু তাঁর কাছে থাকা দা দিয়ে ইমনকে কোপাতে থাকে। এ সময় অন্যরাও ইমনকে কুপিয়ে আহত করে। ইমন নিস্তেজ হয়ে গেলে, তাঁকে তুরাগ নদে ফেলে দেয়। পরে ১৬ জুলাই ইমনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।’
আব্দুল্লাহ আল মোমেন বলেন, পাঁচ দিন তাঁকে পরিবার খোঁজাখুঁজি করে। ১১ জুলাই ইমনের পরিবার নিখোঁজের জিডি করে।
শুরু থেকেই ইমনের পরিবার এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করে আসছিল। টাঙ্গাইল থেকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী রাশিদুল ইসলাম রাশুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গাজীপুর থেকে বিপুল চন্দ্র বর্মণকে গ্রেপ্তার করা হয়।