রাজধানীর গুলশানে ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শিশুসহ চারজনকে দগ্ধ অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসে স্বজনরা। দগ্ধরা হলেন, ডিএম রফিকুল ইসলাম রাজিব (৩৫) স্ত্রী মালিহা আনহা উর্মি (৩২), তাদের ছেলে মাসরুর মোহাম্মদ রাফিন (২), বাসার কাজের মেয়ে মনি (৩৫)।
দগ্ধ রাজিবের মামা ইমদাদুল হক জানায়, রাজিবের বাসা গুলশান ২ এর ১৩০ নম্বর রোডে। দ্বিতীয় তলায় থাকত তারা। রজিব গুলশান ন্যাশনাল ব্যাংক করপোরেট শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। ঘটনার সময় বাসাতেই অন্য রুমে ছিল রাজিব। অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিল। এমন সময় আগুনের ঘটনা ঘটে।
ইমদাদুল হক আরও জানান, দগ্ধ অবস্থায় তাঁদেরকে প্রথমে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন জানান, গুলশানের ঘটনায় শিশুসহ চারজনকে ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে। মালিহা আনহা উর্মির (৩২) ৭০ শতাংশ, শিশু মাসরুর মোহাম্মদ রাফিন (২) ৩০ শতাংশ ও মনি আক্তার (৩৫) ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। রাজিব হালকা দগ্ধ হয়েছে। তিনজনের অবস্থায়ই আশঙ্কাজনক।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল সোয়া ১১টার দিকে গুলশান-২ এর ১০৩ নম্বর সড়কের একটি আবাসিক ভবনের ২য় তলায় বেশ কয়েকটি এসি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় জানালার কাচ ভেঙে সড়কের ওপর পড়ে।
এতে সড়কে পার্কিংয়ে থাকা ব্যক্তিগত গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় ভবনের বাসিন্দা, এক রিকশাচালকসহ পার্কিংয়ে থাকা গাড়ির যাত্রীসহ কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।