গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি করা হয়েছে, তবে এখনো তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। গৃহকর্মীরা যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাঁদের সামাজিক মর্যাদা নেই। পেশা হিসেবে কাজের কোনো স্বীকৃতিও নেই।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘গৃহকর্মী জাতীয় সম্মেলন ২০২৪ ’-এ বক্তারা এসব কথা বলেন। অক্সফাম ইন বাংলাদেশ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠন এই সম্মেলনের আয়োজন করে। সম্মেলনে বক্তারা গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতি বাস্তবায়নের দাবি জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, গৃহকর্মীদের ছুটিছাটা নেই। তাঁরা যেখানে রান্না করেন, সেখানেই ঘুমান। তাঁরা নির্যাতনের শিকার হন। এমনকি তাঁরা হত্যাকাণ্ডের শিকার পর্যন্ত হন। গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি হয়েছে। তবে এটা কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে, দেখা প্রয়োজন।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শিরীন আখতার। তিনি বলেন, গৃহকর্মীরা যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে থাকেন। পেশা হিসেবে কাজের কোনো স্বীকৃতি নেই। শ্রম আইনে তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সম্মেলনে গৃহকর্মীরা নিজেদের অধিকার, বঞ্চনা ও সংগ্রামের কথা তুলে ধরেন। তাঁরা ন্যূনতম মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নির্যাতন, পর্যাপ্ত ছুটি না থাকার কথা জানান।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডিএসকের নির্বাহী পরিচালক দিবালোক সিংহ। স্বাগত বক্তব্য দেন—অক্সফাম ইন বাংলাদেশের এ দেশীয় পরিচালক আশীষ দামলে। ‘সময় এখন গৃহকর্ম ও গৃহকর্মীর’ এই প্রতিপাদ্যে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার পাঁচ শতাধিক গৃহকর্মী অংশ নেন। সম্মেলনে শ্রম আইনে গৃহকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে তাঁদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানানো হয়।