পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেলের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর প্রথম তিন ঘণ্টায় ৩ হাজারের বেশি মোটরসাইকেল পার হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় এসব মোটরসাইকেল পার হয়। তথ্য নিশ্চিত করেন পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজ্জব আলী।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘যানবাহন আসামাত্রই টোল পরিশোধ করে সেতু পারি দিতে পারছে। কোথাও কোনো চাপ নেই। সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি মোটরসাইকেল পদ্মা সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। সকালের দিকে দুটি বুথ দিয়ে টোল আদায় করা হয়। সকাল ৮টার পর চাপ কমতে থাকে। তখন থেকে আবার একটি বুথ দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। যদি আবারও চাপ বাড়ে, সে ক্ষেত্রে দুটি দিয়ে আদায় করা হবে।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে মোটরসাইকেল আরোহীরা পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় ভিড় জমান। এ সময় দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয় টোল প্লাজায়। তাঁরা নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট লেনে দাঁড়িয়ে টোল দিয়ে পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন। কিছুক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হলেও সবার মুখেই হাসি দেখা গেছে।
বরিশালগামী যাত্রী সোলাইমান বলেন, ‘আজ জীবনের প্রথম পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছি। মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে পারায় আমরা অনেক খুশি। আমরা চাই মোটরসাইকেল আরোহীদের জন্য সব সময় পদ্মা সেতু উন্মুক্ত থাকুক।’
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘সকাল হতেই মোটরসাইকেলচালকেরা নিয়ম মেনে পদ্মা সেতু দিয়ে পার হচ্ছেন। এতে কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি। শান্তিপূর্ণভাবে মোটরসাইকেল নিয়ে টোল প্লাজা হয়ে পদ্মা সেতু পার হচ্ছেন তাঁরা। পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার পাশাপাশি পদ্মা সেতুর ওপরেও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন থেকে সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। প্রথম দিনে ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপার হয়। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ছিল প্রায় ২৭ হাজার। ওই দিন রাতে সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই তরুণ নিহত হন। এরপর সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ। পরে দীর্ঘ ৯ মাস ২৪ দিন পর আজ বৃহস্পতিবার পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠেছে।