নিরাপদ কারাগারের মধ্যে আজকের এই দিনে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন চার নেতা। বাংলাদেশে দুটি ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, যার মধ্যে একটি ঘটেছে ১৫ আগস্ট, অন্যটি ৩ নভেম্বর জেলহত্যার ঘটনাটি। এই ঘটনাগুলো কারা ঘটিয়েছে তা সবাই জানে। অনেক হত্যাকারীরই বিচার হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর চকবাজার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এসব কথা বলেন।
কারাগারে হত্যাকাণ্ডের শিকার চার নেতা হলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জানি জেলখানা পৃথিবীর মধ্যে সব থেকে নিরাপদ স্থান। কিন্তু কীভাবে আইন ভঙ্গ করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, তা সবাই জানে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে এবং রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। আর যাঁরা পলাতক আসামি রয়েছেন, তাঁদের আমরা খুঁজে বেড়াচ্ছি। আমরা যখন আসামিদের নিজেদের আওতায় পাব, তখনই ফাঁসির রায় কার্যকর হবে। জেলহত্যার রায় কার্যকরের জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সকালে জেলখানায় প্রবেশ করে প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি জেলহত্যার ঘটনায় নিহত জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে তানজীম আহমদ সোহেল তাজ, সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনিসুর রহমানসহ আরও অনেকে।