মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে হালিমা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে মারধরের পর হত্যা চেষ্টা করায় স্বামী মুরাদ শেখ (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে সিরাজদিখান থানা-পুলিশ। আজ রোববার সকালে উপজেলার কাজিরবাগ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত মুরাদ একই এলাকার হেলাল শেখের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ হালিমাকে মারধর করে আসছেন তাঁর স্বামী মুরাদ। বেশ কয়েকবার পানিতে চুবিয়ে মারারও চেষ্টাও করেছেন। গতকাল শনিবার স্থানীয় মেম্বার এ বিষয়ে বিচারও করেন। কিন্তু নেশাগ্রস্ত মুরাদ আজ আবার তাঁকে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয় নারীরা বাধা দিলে তাঁদেরও মারতে চাপাতি নিয়ে এগিয়ে আসেন তিনি। এ ঘটনাটি প্রতিবেশী খাদিজা তাঁর মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিলে বিষয়টি জেলায় আলোড়ন সৃষ্টি করে। স্থানীয় মেম্বার ও লোকজন গিয়ে হালিমাকে উদ্ধার করে এবং ৯৯৯ এ ফোন দেয়।
ভিডিও ধারণকারী খাদিজা জানান, মুরাদের হাতে চাপাতি ছিল। কেউ হালিমাকে বাঁচাতে এলেই সে চাপাতি নিয়ে তাড়া করছেন। এ জন্য কেউ হালিমাকে বাঁচাতে পারছিলাম না।
হালিমা বেগমের ৪ বছরের শিশু কন্যা বলে, আমার মাকে বাবা মেরেছে। আমার মাকে বাঁচান।
মালখানগর ইউপি সদস্য মো. আবু সাঈদ বলেন, আমি ব্যাপারটি জানা মাত্র ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি মুরাদ হালিমার পেটে, পিঠে, মুখে কিল ঘুষি মারছে। আমি তাঁকে উদ্ধার করি এবং মুরাদকে আটকে রেখে থানায় খবর দেই।
মো. আবু সাঈদ আরও বলেন, হালিমার কপাল ও গাল কেটে গেছে। তাঁর শরীরে অসংখ্য জখম রয়েছে। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মুরাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই সাথে নারী নির্যাতন মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।