নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় মূল হোতা মো. মারুফ হোসেনকে সাভারের আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল র্যাব সদর দপ্তর গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-৪-এর অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার মঈন জানান, নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত ২৮ নভেম্বর সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে দায়িত্বরত অবস্থায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য নায়েক রুবেল হোসেন গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পরে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ললিত চন্দ্র রায় বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন মারুফ।
মারুফ হোসেনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে খন্দকার মঈন জানান, মারুফ হোসেন ওরফে অন্তিকের বাবা মৃত মোসাদ্দেক হোসেন কিশোরগঞ্জ উপজেলায় গড়াগ্রাম ইউনিয়নের ১৯ বছর ধরে চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে মৃত্যুবরণ করলে সে উপনির্বাচনে নির্বাচিত হয়। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আবারও নির্বাচনে জয় লাভ করতে মারুফের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রায় সব ভোট প্রয়োজন ছিল। সব ভোট নিশ্চিত করতে নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই মারুফ ও তাঁর সমর্থকেরা কেন্দ্র দখল ও হামলার পরিকল্পনা করে। ঘটনার দিন ২৮ নভেম্বর, প্রথমে মারুফের সমর্থকেরা জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে তারা হামলা করে। একপর্যায়ে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেয়।