ঢাকা: আগামী ২৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়িয়েছে সরকার। ফলে ঈদে যারা বাড়ি গিয়েছিলেন তাদের আগের মতোই ঝক্কিঝামেলা করে ফিরতে হচ্ছে। ঈদের পরদিন থেকেই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ভিড় করছেন ফেরিঘাটগুলোতে। লঞ্চ বন্ধ থাকায় চিত্রটা সেই ঈদের আগের মতোই। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে ঘাটে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি তোয়াক্কা না করেই কর্মস্থলে ফিরছেন মানুষ।
আজ রোববার সকালে মাওয়া ফেরিঘাটে গিয়ে দেখা যায় জনস্রোত। গণপরিবহন বন্ধ রেখে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোয় চরম ক্ষুব্ধ রাজধানীতে ফিরতি যাত্রীরা।
করোনারে ভয় কইরা লাভ আছে? উপরে আল্লাহ আছে না? ঈদে বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরে এভাবেই বলেন আসিফ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদে ফেরিতে করে পদ্মা পার হয়ে বাড়ি গিয়েছিলেন আসিফের মতো অনেকে। আজ একইভাবে ফিরছেন তারা।
গণপরিবহন বন্ধ রাখায় মাদারীপুর থেকে আসা শামীমা আক্তার ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, সরকার লকডাউন দিয়া আরও বিপদ বাড়াইছে। গাড়িতে ভালোমতে যাইতে পারতাম। কিন্তু এখন এত মানুষের মধ্যে করোনা আরো বেশি ছড়াইবো। আমরা কী করুম? আমগো বাড়িঘর আছে। ঈদে না গেলে তো হয় না!
করোনা সংক্রমণ রোধে বারবার লকডাউন বর্ধিত করার নীতি নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ। ফরিদপুর থেকে ফেরা দুলাল বলেন, করোনা আমাদের জন্যই। মরলেও আমরা মরমু। বাঁচলেও আমরা বাঁচমু। সরকারের কী আসে যায়!