রাজধানীর লোকাল বাসের ভেতরে যাত্রীর গায়ে বমি করে বিশেষ কৌশলে টাকা ছিনতাই করে একটি চক্র। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত কিছু অসাধু গাড়িচালক ও হেলপার। তাই ছিনতাইয়ের টাকার একটি অংশ তাঁদেরও দিতে হয়।
ছিনতাইয়ের পরে এই চক্রের দুই সদস্যকে গতকাল শুক্রবার রাতে ফার্মগেটের খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করেছে তেজগাঁও থানার পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সুমন আল হাসান (২৯) ও মো. আবুল হোসেন (৪০)।
আজ শনিবার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন। তিনি বলেন, তাঁরা ঢাকার চিহ্নিত ছিনতাইকারী। এদের গ্রুপে মোট পাঁচ জন সদস্য রয়েছেন। গ্রুপটি বিভিন্ন বাসে উঠে কৃত্রিম জটলা সৃষ্টি করে। এরপর নির্দিষ্ট একজনকে টার্গেট করে। প্রথমে কয়েকজন তাঁকে ঘিরে ধরেন। এরপর একজন তাঁর গায়ে বমি করে দেন।
এ সময় ওই ব্যক্তি কিছুটা অস্বস্তি বোধ করলে বাকি দুজন কৌশলে তাঁর পকেট থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেন। এ ক্ষেত্রে কেউ যদি তাঁদের কাউকে দেখে ফেলেন বা ধরে ফেলেন তখন বাকি সদস্যরা ওই ব্যক্তিকেই ছিনতাইকারী বলে মারধর করেন এবং পালিয়ে যান। আর কেউ ধরা খেলে বাকি সদস্যরা ছুরির ভয় দেখিয়েও পালিয়ে যান।
ওসি বলেন, তাঁরা নিয়মিত বাসে এই কাজ করেন। ফলে বেশ কিছু ড্রাইভার ও হেলপার তাঁদের চেনেন। এসব ড্রাইভার ও হেলপার তাঁদের সহযোগিতা করেন এবং নিরাপদে বিভিন্ন স্থানে নামিয়ে দেন। বিনিময়ে তাঁদেরও নির্দিষ্ট একটি ভাগ দেন এসব ছিনতাইকারী।
গত শুক্রবার একই কায়দায় একটি বাসে ওঠেন বমি পার্টির সদস্যরা। তাঁদের একজন এ সময় এক যাত্রীর মাথায় বমি করে দেন। এরপর বাকি সদস্যরা ওই ব্যক্তির পকেট থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি দেখে ফেললে উল্টো তাঁকেই ছিনতাইকারী বলে মারতে থাকেন তাঁরা। পরে আরও কয়েকজন যাত্রী ঘটনা বুঝতে পেরে এগিয়ে এলে তিনজন পালিয়ে যান। সুমন ও আবুল হোসেনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ২০ হাজার টাকা ও দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।