ভিআইপি বন্দীরা কারাগারে গেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউর প্রিজন সেলে যান। প্রিজন সেল যেন রিসোর্টে পরিণত হয়েছে। এই চর্চা বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের আবেদনের শুনানিতে আজ বুধবার এসব কথা বলেন দুদকের আইনজীবী। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চে এই শুনানি হয়।
শুনানি শেষে সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেন আদালত। হারুনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু ও মাইনুল ইসলাম।
এর আগে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমিনসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে গত ১২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়। রায়ে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনের ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং প্রেসিডেন্ট এম হারুন-অর-রশীদের চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন-অর-রশীদ। পাশাপাশি জামিনও চান তিনি। গত ৯ জুন হারুন-অর-রশীদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলায় অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।