কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে আসা ১২ জঙ্গির মধ্যে আরাফাত রহমান ওরফে সিয়াম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শামসকে ছিনিয়ে নেওয়াই ছিল অপারেশন টিমের মূল টার্গেট। কিন্তু তাঁকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি অপারেশনে থাকা জঙ্গিরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার অপারেশনে থাকা সদস্য ও কারাগারে থাকা জঙ্গিদের মধ্যে এই ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা সমন্বয় করেছেন ২০১৭ সাল থেকে জামিনে থাকা জঙ্গি মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফি। আদালতে হাজিরা দিতে আসা জঙ্গিদের হাতে কিছু নগদ টাকাও তুলে দিয়েছিলেন অমি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে অমিকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
গত রোববার দুপুরে আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান এবং আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাবকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা।
প্রথম দফায় আদালত থেকে বেরিয়ে আসা চার জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিতে চাইলেও দুই জঙ্গি আরাফাত রহমান ও আব্দুস সবুর ওরফে রাজু ওরফে সাদ ওরফে সুজনকে ছিনিয়ে নিতে পারেনি জঙ্গিরা।
সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘অমিকে গ্রেপ্তারের পর আজ রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।’
২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর রাজধানীর আমিনবাজার থেকে গ্রেপ্তার হন আরাফাত। তিনি আনসার আল ইসলামের অপারেশন শাখার সদস্য। পলাতক জঙ্গি নেতা মেজর জিয়ার বিশ্বস্ত ও সাংগঠনিক নেতা ছিলেন তিনি। তাই তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়াই মূল টার্গেট ছিল বলে জানিয়েছে সিটিটিসি।