সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহকালে অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী—দুই পক্ষেরই হামলার শিকার হয়েছেন তাঁরা। গতকাল বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে তাঁরা আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন আজকের পত্রিকার কনটেন্ট ক্রিয়েটর আহমেদ শাবিব আব্দুল্লাহ, একাত্তর টিভির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক নাদিয়া শারমিন ও ক্যামেরাপারসন সৈয়দ রাশেদুল হাসান, ডিবিসি চ্যানেলের সাংবাদিক যুঁথি ফারহানা, যমুনা টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ভাষ্কর ভাদুড়ী, মুকতাদির রশিদ রোমি ও কালবেলার আকরাম হোসাইন ও জনি রায়হান, সময় টিভির ক্যামেরাপারসন নিজামউদ্দিন, বাংলা ভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মামুন আব্দুল্লাহ, নিজস্ব প্রতিবেদক শুভ খান এবং জ্যেষ্ঠ ফটোসাংবাদিক লিটন খান, চ্যানেল এসের সাংবাদিক সুলাইমান কবির প্রমুখ। আহতদের মধ্যে কয়েকজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নাদিয়া শারমিন বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে যাত্রাবাড়ী জনপদ মোড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় আমরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলাম। হঠাৎ পুলিশের ছোড়া ছররা গুলি দেয়ালে লেগে আমাদের শরীরে লাগে। আমার গলার ডান পাশে, বাঁম হাতে এবং ডান পায়ে গুলি লেগেছে। একই সময়ে আমাদের ক্যামেরাপারসন সৈয়দ রাশেদুল হাসান গলার নিচে একটি গুলি লাগে।’
বুধবার (১৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসির ডাস চত্বর এলাকায় পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে আহত হন আহমেদ শাবিব আব্দুল্লাহ। তাঁর হাত ঝলসে গেছে এবং পেটে জখম হয়েছে।
কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বিএফইউজের (একাংশের) সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হামলার শিকার সাংবাদিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’