ইটভাটার ছাড়পত্র বিক্রির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনকে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিষয়টি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ‘বিক্রি হচ্ছে ইটভাটার ছাড়পত্র’ শিরোনামে গত বছরের ২৫ নভেম্বর দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে তা যুক্ত করে আদালতে আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দিন আহমেদ।
দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার ধামরাইয়ে ইটভাটা তৈরিতে ঘুষ দিয়ে মিলছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। এভাবে গত ৮ মাসে ধামরাইয়ে ‘বৈধ’ ইটভাটার সংখ্যা বেড়েছে ৩২। একাধিক ইটভাটার মালিক স্বীকার করেছেন, টাকার বিনিময়ে তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পেয়েছেন। আবার একটি ইটভাটার অনুমোদন নিয়ে একাধিক ইটভাটা স্থাপন, ভেঙে দেওয়া ইটভাটা নতুন নামে এই এলাকায় চালু করা হচ্ছে। এতে বাড়ছে পরিবেশদূষণ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঘুষের বিনিময়ে এসব ইটভাটার বেশির ভাগ পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র পাইয়ে দিতে কাজ করছেন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমের ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম। যদিও তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তবে পরিচয় গোপন করে ইটভাটার মালিকের আত্মীয় পরিচয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বললে ইটভাটার ছাড়পত্র আনিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার শুনানিতে আদালত বলেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর দূষণ বন্ধে কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সুতরাং তাদের প্রয়োজনীয়তা আছে কি না–এমন প্রশ্ন রেখেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের আইনজীবীর কাছে।’
আদালত বলেছেন, দেশের নদী দূষিত, বাতাস দূষিত এবং ঢাকার অবস্থা আরও খারাপ। সুতরাং আমরা শঙ্কিত।