‘একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে পাকিস্তানের হানাদারেরা জাতির সূর্য সন্তান বুদ্ধিজীবীদের বাছাই করে করে হত্যা করেছে। একটি জাতির অগ্রগতি থামিয়ে দেওয়ার জন্য এটি ছিল পাকিস্তানি দোসরদের অপচেষ্টা। বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। বুদ্ধিজীবীদের হত্যা না করা হলে, আমরা অন্য রকম দেশ পেতাম।’
আজ মঙ্গলবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আলোচকেরা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
সভায় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ‘১৪ ডিসেম্বর আমরা বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি। কেন তাঁদের হত্যা করা হয়েছিল? মুক্তিযুদ্ধের সময় সরাসরি অস্ত্র হাতে না নিলেও বুদ্ধিজীবীরা বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন। এর মাধ্যমে দেশে-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে যৌক্তিক সমর্থন তৈরি হয়েছিল। তখন বুদ্ধিজীবীদের হত্যা না করা হলে, আজকে হয়তো আমরা অন্য রকম দেশ পেতাম।’
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বর্তমান সভাপতি ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিইউজের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ।