ঢাকার ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের হরিদাসপুর গ্রামে মেরামতের ৩ মাস পেরোতেই একটি সড়কের বেহাল দশা দেখা দিয়েছে। একদিনের বৃষ্টিতে সড়কের প্রায় অর্ধেক ধসে পড়েছে। এতে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ করায় তিন মাসেই সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে।
জানা গেছে, ৩৮৩ মিটার সড়কের মেরামতের কাজ করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রাইহান এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মিঠু মিয়া। সড়কটির মাঝে বিটুমিন দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এবং দুই পাশ দিয়ে ইটের সলিং দিয়ে সড়কটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সড়কের দুই পাশে বালু ফেলে বালুর ওপর দিয়ে ইট বসানো হয়েছে। বালুর ওপরে ইট বসানোর কারণেই বৃষ্টির পানিতে ইটের নিচ থেকে বালু সরে গিয়ে সড়কটি ভেঙে গেছে। আর এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম খান জানান, এই সড়কটি কয়েক মাস হয় মেরামত করা হয়েছে। একদিনের বৃষ্টিতেই সড়কটি দুই পাশ থেকে ভেঙে গেছে। সড়ক ভেঙে এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখনতো বৃষ্টি তেমন শুরু হয়নি। আর দু’একদিন বৃষ্টি নামলে এই সড়ক আর সড়ক থাকবে না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকির অভাবেই এমন কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
কুশুরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এই রাস্তার কাজটি মূলত আমার না। এটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করেছে। সড়কটিতে ইটের নিচে বালুর কারণেই বৃষ্টির পানিতে ধসে গেছে। কন্ট্রাক্টরকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। সে তার লোক পাঠিয়েছে কাজটি ঠিক করার জন্য।’
এ বিষয়ে কুশুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনো জানি না। আমি জানার চেষ্টা করছি দেখি।’
এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হকের অফিসে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন কেটে দেন।