কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার বিচার শুরু হয়েছে। আজ রোববার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরুর নির্দেশ দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
পরে বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন আগামী ৭ এপ্রিল সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন। মামলার বাদীকে ওই দিন ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই মামলার আসামি আল জাজিরায় প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকারনাইন সায়ের খান, নেত্র নিউজের এডিটর ইন চিফ তাসনিম খলিল, আশিক ইমরান ও স্বপন ওয়াহিদ পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে আগে। ই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল কার্টুনিস্ট কিশোর জামিনে থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হননি। এ কারণে তার জামিন বাতিল করা হয়। ট্রাইব্যুনাল কিশোরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।
মামলার অপর দুই আসামি রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ গঠনের সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
এর আগে গত বছর ১৩ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আফছার আহমেদ কিশোরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অন্যতম আসামি লেখক মুশতাক আহম্মেদ মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন ও ফিলিপ শুমাখার নামে এক ব্যক্তিকে (এই নামে ফেসবুক আইডি ছিল, কিন্তু ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি) মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল তাদের অব্যাহতি দেন।
গত বছরের ৫মে র্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার আবু বকর সিদ্দিক রমনা থানায় কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ‘আই অ্যাম বাংলাদেশি’ নামে ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্ন করতে বা বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে অপপ্রচার বা গুজবসহ বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিয়েছেন। যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটায়।