কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়ি থেকে ২৬০ এবং সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আজ বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক এই প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে জেলা প্রশাসককে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দিয়ে রুল নিষ্পত্তি করেন আদালত।
আদালতে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন ফকির। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এর আগে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় ওই ডিসিকে গত ২৫ আগস্ট তলব করেন হাইকোর্ট। সে অনুযায়ী ১৯ অক্টোবর হাজির হয়ে ক্ষমা চান তিনি।
ওই দিন শুনানির সময় আদালত ডিসির উদ্দেশে বলেন, ‘সমুদ্রসৈকত এলাকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সৌন্দর্য রক্ষায় আপনার পারফরমেন্স শুধু জিরো নয়, নেগেটিভও। বারবার বলার পরও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করেননি। আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করলে আপনার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। এই ঝুঁকিতে যাবেন না। সারা পৃথিবী এই কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের দিকে তাকিয়ে আছে। একে আমরা ইউটিলাইজ করতে পারছি না। কক্সবাজারের সৌন্দর্য রক্ষায় ভূমিকা রাখুন। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করুন, সুন্দর ব্যবস্থাপনা করুন। মানুষ আপনাকে মনে রাখবে। আদালতের আদেশ না মানার কোনো সুযোগ নেই।’ পরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। সে অনুযায়ী এই প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।
বুধবার মনজিল মোরসেদ বলেন, প্রতিবেদন দেওয়ার পর শুনানি শেষে রুল নিষ্পত্তি করে জেলা প্রশাসককে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ উচ্ছেদ করা এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সব সময় সতর্ক থাকতে বলেছেন।