দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দুটি বিশেষ জজ আদালত পৃথক আদেশে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সকালে সাবেক এই সংসদ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করেন।
প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ-৯ কবির উদ্দিন প্রামাণিকের আদালতে তাঁর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন। এরপর অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ প্রদীপ কুমার রায়ের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাঁর চিকিৎসা ও প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদা চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে তিনি হৃদরোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন বলে উল্লেখ করা হয়। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে তুহিন অসুস্থ থাকায় তাঁকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। তুহিনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেনের সময় তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।
এর মধ্যে কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুই ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছর–মোট ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাঁকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাঁকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলেন। তুহিনের সঙ্গে বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মীকে আদালত এলাকায় দেখা যায়।