মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় এক শিশুসহ আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো তিন শিশু নিখোঁজ রয়েছে।
আজ রোববার সকালে পৃথক স্থান থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ইজাজ উদ্দিন আহমেদ।
তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু করি আমরা। তৃতীয় দিনের উদ্ধার অভিযানে সকাল ৮টার দিকে নদীর মোহনপুর এলাকা থেকে জান্নাতুল মারুয়া সাবিয়া নামে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আর সকাল ১০টার দিকে নদীর চর ঝাপটা এলাকা থেকে সাব্বির হোসেন নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার হয়।’
উদ্ধারকৃতরা হলেন—সাব্বির হোসেন (৪০) ও জান্নাতুল মারুয়া সাবিয়া (৮)।
এখনো নিখোঁজ রয়েছে—গজারিয়া ইউনিয়নের উত্তর ফুলদি গ্রামের মফিজুলের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া (৬), জান্নাতুল ফেরদৌস সাফাহ (৩) ও সাব্বির হোসেনের ছেলে ইমাদ হোসেন (২)।
এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া মফিজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, সাব্বির হোসেন তাঁর ভায়রা ভাই এবং জান্নাতুল মারুয়া সাবিয়া তার বড়ভাই বোরহান উদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় এখনো ৩ শিশু নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি স্বজনদের। নিখোঁজেরা সকলেই মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাসিন্দা। ট্রলারে ১১ জন যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ৫ জনকে ঘটনার দিন শুক্রবার জীবিত করা উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিস, নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল এবং নৌ-পুলিশ উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় চালকসহ ১২ জন আরোহী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলাধীন মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি ট্রলার ডুবে যায়। এ ঘটনায় ছয়জন জীবিত উদ্ধার হলেও মা ও দুই মেয়েসহ নিখোঁজ ছিলেন ছয়জন। গতকাল শনিবার সকালে মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সুমনা আক্তারের (২৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।