রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সাড়ে ১১টা) সংঘর্ষ চলছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ওই এলাকায় অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তবে আন্দোলনকারীদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। স্থানীয়ভাবে পরিচিত বিএনপি-জামায়াতের কর্মী ও সমর্থকেরা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। পুলিশ ও আওয়ামী-যুবলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলছে। মুহুর্মুহু টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
এ দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। তবে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা এলাকায় কিছু কিছু যানবাহন চলতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড দেন। যান চলাচলে বাধা দিচ্ছেন তাঁরা। সাংবাদিকদের মোটরসাইকেলও চলতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ ও অফিসগামী পথচারীরা পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন।
বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন বয়স্ক নারী-পুরুষ শিশু ও রোগীরা। বেলা ১১টা নাগাদ ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ মিলে শাটডাউনের প্রতিবাদে মিছিল বের করে।
রাজধানীর শনির আখড়ায় বুধবার দিনভর ও রাতে আন্দোলনকারী-পুলিশের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে। টায়ার ও কাঠ জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্থানে আগুন দেওয়া হয়। মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের টোল প্লাজায়ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।