শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন রাজধানীর মণিপুরি পাড়ার বাসিন্দা আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানালেন, হাসপাতাল থেকে মেয়েকে নিয়ে বের হওয়ার পর এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো বাস পাননি। সিএনজি অন্য সময়ে ১২০ টাকায় গেলেও আজ ভাড়া চাচ্ছে ৪০০ টাকা। রিকশা ৭০ টাকার স্থলে ১৫০ টাকা। তিনি জানালেন, রাস্তায় বাস কম থাকায় রিকশা আর সিএনজিচালকেরা ডাকাতের মতো ভাড়া চান।
শুধু শাহবাগ নয়, এমন চিত্র পুরো ঢাকা শহরেই। ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনো প্রায় ফাঁকা রাজধানীর সড়কগুলো। হাতে গোনা কিছু গণপরিবহন চললেও এসব পরিবহনে সেবা নিতে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে যাত্রীদের। গণপরিবহন সংকটের এ সুযোগে রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজিচালকেরা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছেন অতিরিক্ত ভাড়া।
শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে গেছে প্রতিটি সড়কই এখনো অনেকটাই ফাঁকা। ঢাকার কর্মজীবী মানুষের অধিকাংশই এখনো কর্মস্থলে না ফেরায় মূল সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতেও মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া বন্ধ রয়েছে বেশির ভাগ দোকানপাট। এমতাবস্থায় রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা যাত্রীদের কাছে বেশি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। কোথাও কোথাও দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে বলেও দাবি তাঁদের।
এদিকে, ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে সিএনজি ও রিকশাচালকেরা বলছেন, ঈদের সময় যাত্রী কম থাকায় ভাড়া একটু বেশি না নিলে সারা দিনের খরচ তোলা যায় না। সিএনজিচালক সোহাগ মিয়া বলেন, ‘ঈদের সময় এমনিতেই যাত্রী কম থাকে। কিন্তু মালিকদের জমা-খরচ আমাদের কাছ থেকে কম নিচ্ছেন না। ঈদে পরিবারকে সময় না দিয়ে আমরা রাস্তায় নেমে গাড়ি চালাচ্ছি তাই যাত্রীদের কাছ থেকে বিশ-পঞ্চাশ টাকা বেশি নিচ্ছি।’
যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া কেন চাওয়া হচ্ছে সে বিষয়ে কামরুল নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘পরিবার-পরিজন বাদ দিয়ে এখানে রিকশা চালাচ্ছি, বকশিশ হিসেবে কিছু টাকা বেশি চাই। যারা দেয় না তাদের তো জোর করতে পারি না।’