ঢাকার একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ এবং সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছিলেন আমির হোসেন। তবে আজ মঙ্গলবার জামিন না দিয়ে তাকে পুলিশে দিয়েছেন বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আদালত বলেন, এই আসামির হাত থেকে বাঁচতে মেয়েটি বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু তারপরও তাকে ছাড় দেয়নি। গোপনে করা ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিয়েছে। কত জঘন্য অপরাধ করেছে। এ ধরনের অপরাধ করে কেউ পার পেতে পারে না।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কেএম মাসুদ রুমি বলেন, এজাহার অনুযায়ী এমবিবিএস পড়াকালীন ২০১৬ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে আমিরের সঙ্গে পরিচয় হয় ওই মেয়েটির। সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলে বিভিন্ন সময় ওই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আমির হোসেন। পরবর্তীতে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তিন লাখ ২৯ হাজার টাকাও আদায় করে। তবে ওই চিকিৎসক বিদেশে চলে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামি ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।
ওই ঘটনায় গত ২১ নভেম্বর রাজধানীর চকবাজার থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।