পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তার ছাত্রদলের দুই নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আফনান সুমি তাদের কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার দুই জন হলেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম ওরফে জিসান (৩১) ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ বিল্লাহ (৩০)। আদালতের লালবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক শওকত আকবর এ তথ্য জানান।
দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে শেষে বিকেলে দুইজনকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান জোনের উপপরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান দুজনকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
গত ২০ আগস্ট দুইজনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর ২৩ আগস্ট আবারও দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত ১৯ আগস্ট তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশ। মামলায় বাদী হন ডিবি পুলিশের এসআই মোহাম্মদ নুর আলম সিদ্দিকী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, লালবাগের ৩৮/১/এ নম্বর বাসায় অভিযান চালিয়ে জিসান ও আরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় জিসানের কোমর থেকে এক রাউন্ড গুলিসহ লোহার বাটযুক্ত একটি পিস্তল এবং তার কাধে থাকা ব্যাগ থেকে আট চেম্বার বিশিষ্ট রিভলবার ও আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও তার কাছে থাকা আরেকটি বাক্স থেকে ১৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। অপর আসামি আরিফের কোমরে থাকা আট চেম্বার বিশিষ্ট একটি রিভলবার ও আট রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, এই আসামিরাসহ ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা দলবদ্ধ হয়ে চলমান সরকার বিরোধী আন্দোলনে রাস্তায় শক্তি প্রদর্শনের জন্য এই অস্ত্র ব্যবহার করছিলেন। এ ছাড়া তারা বিভিন্ন নাশকতা মূলক কর্মকান্ড সংগঠিত করার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন।
পরে আরও চার ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ও অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়। মামলার পুলিশ প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রদলের এসব নেতাকর্মীরা বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পরিকল্পনা করছিলেন।
গ্রেপ্তার ওই চারজনকে ২০ আগস্ট বিশেষ ক্ষমতায়দের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়।
তারা হলেন সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহসভাপতি মো. হাসানুর রহমান ওরফে হাসান (৩২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আর রিয়াদ (২৯), কেন্দ্রীয় সংসদের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন (৩১) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর (৩২)।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ১৮ আগস্ট এই ছয় ছাত্রদল নেতাকে ডিবি তুলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।