আজ শুক্রবার বইমেলার তৃতীয় দিন হলেও এ যেন মেলায় শিশুদের প্রথম দিন। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় মেলার প্রথম প্রহরেই মেলা প্রাঙ্গণ নানা বয়সী শিশুর পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে। বেলা তিনটায় মেলায় শিশুদের অন্যতম আকর্ষণ ‘শিশুপ্রহর’-এর উদ্বোধন করেন কথাসাহিত্যিক মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও বাংলা একাডেমির সদস্যসচিব ড. মুজাহিদুল ইসলাম।
শিশুপ্রহর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল বলেন, ‘বাচ্চাদের হাতে মোবাইল নয়, বই দিন।’
জাফর ইকবাল বলেন, ‘সবাইকে বই পড়তে উৎসাহিত করতে হবে। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, অনেকেই খাওয়ার সময় বাচ্চাদের হাতে মোবাইল দিয়ে রাখেন। মোবাইল দেবেন না। তাদের হাতে বই দিন। তাদের বই পড়ে শোনান, তাহলে তারা যখন পড়তে শিখবে, তখন নিজেরাই বই পড়বে।’
উদ্বোধনের আগে ড. জাফর ইকবাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের দেশে বড়রা বই পড়ে না, বই যারা পড়ে তারা প্রধানত তরুণ। তরুণেরা যদি বই পড়ার অভ্যাসটা রাখে, তাহলে বড় হয়ে তারা বই পড়বে। তরুণদের বই পড়াটা যদি শেখাতে হয়, তাহলে খুব ছোটবেলা থেকেই শেখাতে হবে। আমাদের খুব ভালো লাগছে দেখে যে, বইমেলায় শিশুদের জন্য আলাদা একটি চত্বর আছে। মূলধারার প্রকাশনীগুলোতেও বাচ্চাদের অনেক বই আছে। সেগুলোও এখানে থাকলে বই বেশি থাকত। শিশুদের জন্য এমন নির্ধারিত একটি জায়গার উদ্যোগ বেশ চমৎকার।’
সিসিমপুর স্টলের ইনচার্জ সজীব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা, বেলা সাড়ে ৩টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মোট তিনটি প্রহর হবে। শিশুদের জন্য সিসিমপুরের চরিত্র যেমন হালুম, ইকরি ও টুকটুকি থাকবে। এ ছাড়া শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলা, কুইজ, চিত্রাঙ্কন থাকবে।’
আরেক শিশু রাইয়ান সাম্য আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘এখানে হাতি, হাঁস, পাখির অনেক গল্পের বই আছে। ওই দিকে অনেক খেলা করেছি।’
শিশুপ্রহরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বইমেলার সদস্যসচিব ড. মুজাহিদ বলেন, ‘আমি মনে করি, ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে এই আয়োজন করতে পারব। আগে পরিসর ছোট থাকায় শিশুরা কম জায়গা পেত। এবার আমরা শিশু প্রাঙ্গণটাকে প্রাধান্য দিয়েছি। অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান, আপনারা শিশুদের মেলায় নিয়ে আসবেন।’