টাঙ্গাইলের নাগরপুরে লালভানু (৫৮) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার সকালে অজ্ঞাতনামা ঘাতক নিজ বাড়িতে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করে রান্না ঘরের সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। উপজেলা সদরের দুয়াজানী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত লালবানু ওই গ্রামের মো. বাবুল মিয়ার স্ত্রী।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুয়াজানি গ্রামের আব্দুল মিয়ার সঙ্গে প্রথমে বিয়ে হয় লালবানুর। আব্দুল মিয়া প্রায় ১২ বছর আগে মারা যান। তাঁর মৃত্যুর ২ বছর পর স্ত্রী লালভানু বঙ্গবটিয়া গ্রামের মো. বাবুল মিয়াকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ঘটনার দিন সকালে বাবুল মিয়া বাড়ি থেকে কীটনাশক সার নিয়ে জমিতে যায়। লালভানু সকালের খাবার তৈরি করতে রান্নাঘরে যায়। এ সময় তাঁকে লাঠি দিয়ে কে বা কারা পিটিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।
লালভানুর স্বামী বাবুল মিয়া বলেন, আমি সকালে জমিতে সেচ দেওয়ার জন্য সার নিয়ে চলে যাই। আনুমানিক ৮টার দিকে হত্যাকাণ্ডের সংবাদ পাই। দ্রুত বাড়িতে এসে রান্না ঘরের সামনে আমার স্ত্রীর রক্তাক্ত দেহ পরে থাকতে দেখি।
এ দিকে এ হত্যা কাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলেও পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।
এ ব্যাপারে নাগরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।