মশা ও এডিসের লার্ভা শনাক্তে অত্যাধুনিক ড্রোনের মাধ্যমে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। গত ২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া জরিপে আজ শনিবার পর্যন্ত মোট ৭৭৮৬টি বাড়ির ছাদ, ১৩৪৩টি ছাদ বাগানে ড্রোন জরিপ করা হয়।
এর মধ্যে ২২৮টি ছাদে জমা পানি পাওয়া যায় এবং ৫টি বাড়ির ছাদে এডিসের লার্ভা শনাক্ত করা হয়। বাড়ির মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয় এবং লার্ভা পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।
আজ শনিবার ডিএনসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শহরের বাসা-বাড়ির ছাদের ছাদ বাগান, ছাদে জমা পানি, চৌবাচ্চা এবং বৃষ্টির পানি বা পরিষ্কার পানি জমতে পারে এ ধরনের স্থান ও পাত্র সার্ভে করা এবং অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও মশার প্রজননক্ষেত্র রয়েছে কিনা সেটি দেখতে অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করছে ডিএনসিসি। অত্যাধুনিক ড্রোনের সাহায্যে সেগুলো খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে প্রতিটি বাড়ির ছাদে না উঠেই নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে মশার উৎস সম্পর্কে।
এ ছাড়া ওয়াসার পানির মিটার এবং এ জাতীয় অন্যান্য স্থানে প্রতি মাসে প্রথম সপ্তাহে দানাদার কীটনাশক নোভালুরন প্রয়োগ করা হচ্ছে। মশার প্রজনন স্থান হিসেবে চিহ্নিত সকল নালা, নর্দমা এবং জলাশয়ে নিয়মিত গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে। এদিকে নির্মাণাধীন ভবনে নিয়মিত লার্ভিসাইডিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভবন মালিক এবং নির্মাণ শ্রমিকদের বাসস্থানে জমে থাকা পানিতে কেরোসিন তেল প্রয়োগের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
বিদ্যমান ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে ডিএনসিসি নগরবাসীকে বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার স্থান এবং ডেঙ্গুজ্বর সম্পর্কিত যেকোনো তথ্য বা ডেঙ্গু সম্পর্কিত যেকোনো অভিযোগের জন্য কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে।
নিম্নবর্ণিত নম্বরে ফোন করে নগরবাসী এই সেবা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং যেকোনো পরামর্শ নিতে পারবেন: ০১৭৬৯১০০৬৮০,০১৭১৬৫০৬২৫৮, ০১৭১৫২৩৮৭৫৪,০১৭১৫৪৫৬৬৯৮, ০১৭৫৬২০৯৪৮২,০১৭১৬৩৯৮৮৮৬, ০১৭৩৫৮৪৩৬৯৩