বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে উপাচার্য ও ১১ জন বিভাগীয় প্রধান পদত্যাগের পর তাঁদের মধ্য থেকে ১০ জন বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ প্রত্যাহার দাবি করেছেন আন্দোলনরত একদল শিক্ষার্থী। আজ রোববার রাতে আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য জানান।
জানতে চাইলে শিক্ষার্থী মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা উপাচার্য আবুল কাসেম মিয়া ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান নুরুল হুদা ছাড়া অন্যান্য বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ প্রত্যাহার চেয়েছি। তাঁরা মৌখিকভাবে আমাদের বলেছেন, তাঁরা পদত্যাগ প্রত্যাহার করবেন। তবে তাঁরা তা প্রত্যাহার করেছেন কি না, তা নিশ্চিত নই।’
মোহাইমিনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘একই সঙ্গে মিডটার্মের সময় আগের মতো ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট নির্ধারণ, ইম্প্রুভ ফি কমানোসহ একগুচ্ছ দাবি পূরণেরও দাবি জানিয়েছি।’
এর আগে এক শিক্ষার্থীর মিডটার্ম দিতে না পারা, মিডটার্ম পরীক্ষার সময় কমানো এবং শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ইম্প্রুভমেন্ট ফি কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পরও আগের মতো ক্রেডিটপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা নেওয়ায় শনিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে শনিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে পদত্যাগ করার কথা জানান উপাচার্য আবুল কাসেম মিয়া।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার পরিচালক আবু সা-দাত মো. মুনতাসিরবিল্লা বলেন, রোববার শিক্ষার্থীরা ১০ জন বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগ প্রত্যাহার দাবি করেছেন। পদত্যাগের বিষয়টি শিক্ষকদের ব্যক্তিগত। তাঁরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
এর আগে শনিবার রাতে উপাচার্য ছাড়াও দায়িত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্স রিসার্চের (আইএআর) নির্বাহী পরিচালক এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক এম রিজওয়ান খান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নুরুল হুদা, অর্থনীতি বিভাগের প্রধান মো. ওমর ফারুক, স্কুল অব সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন অধ্যাপক হাসান সারওয়ার, আইরিকের পরিচালক অধ্যাপক খন্দকার আবদুল্লাহ আল মামুন, ইইই বিভাগের প্রধান মো. কে মাশুকুর রহমান, ফার্মেসি বিভাগের প্রধান তাহমিনা ফয়েজ, সিডিআইপির পরিচালক সুমন আহমেদ, ডেটা সায়েন্স প্রোগ্রামের পরিচালক জান্নাতুন নূর, বিজিই প্রোগ্রামের পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং আইএনএসের পরিচালক অধ্যাপক আবু সাকলায়েন।