আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে সশরীর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসেছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লা খান। ব্যাখ্যায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হবিবুল আউয়াল। আজ রোববার বিকেলে নির্বাচন কমিশন ভবনে এসে আজমত উল্লা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
সিইসি বলেন, ‘উনি (আজমত উল্লা) অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। উনি বিশ্বাস করেন, এ ধরনের ভুল কিছুটা অজ্ঞতাবশত হয়েছে। দুই-একটা সভা হয়েছে সিটি নির্বাচন এলাকার বাইরে হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লা সিটি নির্বাচনের আচরণবিধির-৫ ধারার ব্যাপারে অবগত ছিলেন না জানিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘শোডাউনের বিষয়টি আমরা বড় করে দেখেছিলাম। সেদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল, কয়েকজন কাউন্সিলর দলবল নিয়ে এসেছেন। যার ফলে একটা শোডাউনের মতন মনে হয়েছে। আমরা ওনার বক্তব্যে প্রাথমিকভাবে সন্তুষ্ট। উনি সুন্দরভাবে আমাদের সহযোগিতা করার ও নির্বাচন আচরণবিধি যাতে ভবিষ্যতে প্রতিপালিত হয় সেটা উনি চেষ্টা করবেন।’
আজমত উল্লা সার্বিক বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে সিইসি আরও বলেন, ‘আচরণবিধি যদি ভঙ্গ হয়ে থাকে এ জন্য তিনি দুঃখিত। অনুতপ্ত।’
নির্বাচনে কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি জানিয়ে আজমত উল্লা খান বলেন, ‘আমার জ্ঞাতসারে নির্বাচন কমিশনের কোনো বিধিমালা লঙ্ঘন করিনি। ভবিষ্যতেও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে না সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’
প্রশ্নের জবাবে আজমল উল্লা বলেন, ‘আমি কোনো মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিইনি। আপনাদের বুঝতে হবে আমি মাত্র পাঁচজন নিয়ে গেছি। আপনারাই (সাংবাদিক) ছিলেন সেখানে ১৫০ জন। সেদিন আমরা শুধু নয়, কাউন্সিলরদেরও নমিনেশন পেপার জমা দেওয়ার তারিখ ছিল।’
বৃহস্পতিবার (৪ মে) ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ৭ মে মেয়রপ্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ইসিতে তলব করা হয়। এ ছাড়া আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলকেও চিঠি দিয়েছে ইসি।