প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সামনে থেকে যারা গুলি করেছে এবং স্বীকার করেছে যে তারা খুন করেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, শুধুমাত্র কী তারাই বলেছেন? নাকি অনেক বড় চক্র এর পেছনে কাজ করেছে, যেটি এখনো উদ্ঘাটন হয়নি। এটির উদ্ঘাটন হওয়া উচিত, বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে কলকাঠি কারা নেড়েছেন।’
আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে ‘বিচারক জীবনের কথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে রোজ ৪০ থেকে ৫০টা চিঠি আসে। প্রতিটি চিঠি আমি খুলে পড়ি। বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে আমার দায়িত্ব হচ্ছে বিচার প্রার্থীদের কষ্ট, দুঃখ দূর করা।’
মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গত ছয় মাসে অধস্তন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির সংখ্যা বেড়েছে। ৩০ থেকে ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত নিষ্পত্তির হার বেড়েছে। এটা অধস্তন আদালতের বিচারকদের প্রচণ্ড পরিশ্রমের ফল। আসুন সবাই মিলে চেষ্টা করি যাতে তাদের যত দ্রুত সম্ভব আদালতের বারান্দা থেকে বাড়ির বারান্দায় ফেরত পাঠাতে পারি।’
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত ছিল, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কারা সম্পৃক্ত ছিল–এর জন্য একটি কমিশন হওয়া উচিত। একটি কমিশনের মাধ্যমে এটি উদ্ঘাটিত না হলে আগামী প্রজন্ম জানতে পারবে না যে, কী ঘটনাটি সেদিন ঘটেছিল। শারীরিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে কয়েকজন সামরিক বাহিনীর লোক। তাদের বিচার হয়েছে, ফাঁসি হয়েছে। এটাই কী যথেষ্ট? ইতিহাসকে সঠিক পথে আনার জন্য আমার মনে হয়, আমি যে প্রস্তাব রেখে গেলাম সরকার এটি বিবেচনা করবে।’
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে বইয়ের লেখক বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহও উপস্থিত ছিলেন।