রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অমিত হাসান (২২) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পূর্বশত্রুতার জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহতের ছোট বোন সানজিদা আক্তার জানান, গতকাল রাত ৩টার দিকে এক নারীবন্ধুর সঙ্গে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় খিচুড়ি খেতে গিয়েছিলেন অমিত। এর কিছুক্ষণ পর ওই মেয়েটি তাদের বাসায় এসে খবর দেয়, অমিতকে সেখানে কয়েকজন মিলে মারধর ও কুপিয়ে আহত করেছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা সেখানে গিয়ে অমিতকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেখান থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ বুধবার ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে অমিতের মৃত্যু হয়।
সানজিদা অভিযোগ করে বলেন, সোহেল, ওসমান, মেহেদী মিলে অমিতকে ছুরিকাঘাত করেছে। তবে কেন মেরেছে সেটি জানতে যায়নি।
সানজিদা আরও জানান, তাঁদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায়। বাবার নাম মৃত দুলাল মিয়া। বর্তমানে রাজধানীর কলেজগেট পানির পাম্প এলাকায় থাকে। তাঁর ভাই অমিত পেশায় কিছুই করতেন না।
শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সামিউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতরাতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে একটি মারামারির ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত হয় অমিত নামের ওই যুবক। পরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত অমিতের নামে বেশ কিছু মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এসআই আরও বলেন, ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে কলেজ মর্গে রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্ত করা হবে।