হোম > সারা দেশ > ঢাকা

ফাঁকা ঢাকায় ধীর গতির বাসে ম্লান ঘোরাঘুরির আনন্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঈদের লম্বা ছুটিতে যানজটে ভরা চিরচেনা ঢাকা এখন ফাঁকা। মোড়ে মোড়ে গাড়ির জট নেই। ট্র্যাফিক সিগনালে নেই যানবাহনের বাড়তি চাপ। কিন্তু ফাঁকা রাস্তাতেও বাসের ধীর গতির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। 

ফাঁকা ঢাকায় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন সাব্বির-ঋতু দম্পতি। কিন্তু শহর যানজটমুক্ত হলেও বাসের ধীর গতির কারণে ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা বাতিল করে ঘরে ফিরতে হয় তাদের। আজকের পত্রিকাকে সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘অফিসের কাজ আর যানজটের কারণে দুজন একসঙ্গে বের হওয়া হয় না আমাদের। আজ ভেবেছিলাম একটু ঘুরব। কিন্তু বাসে উঠে দেখলাম পৌনে এক ঘণ্টায় বাসটা মাত্র ১০ / ১২ ফটের মতো এগিয়েছে। সব প্ল্যান বাদ দিয়ে বাসায় ফিরছি এখন।’ 

মোহাম্মদপুর থেকে নিউমার্কেটে আসা সামিউল আলম বললেন, ‘ভিড়ে ভিড়ি থাকবে না বইলা আজকে শপিং করতে বাইর হইছি। ভাবছিলাম বাসে উঠলে ২০-৩০ মিনিটের মইদ্দ্যে পৌঁছাইয়া যাব। কিন্তু মোহাম্মদপুর থেকে নিউমার্কেট আসতে আমার পাক্কা ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট লাগল।’ 

রোববার রাজধানীর ধানমন্ডি, শাহবাগ, ফার্মগেট, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, রামপুরা, বনশ্রীসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে বড় ধরনের কোনো যানজট নেই। রাস্তাগুলো একেবারেই ফাঁকা। রাস্তায় যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যাও কম। যেগুলো চলছে, সেগুলোর গতি কচ্ছপের মতোই ধীর। বাসের সব সিট ভরে যাওয়ার পরেও বাড়তি যাত্রী তুলতে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থেকে অযথা সময়ক্ষেপণ করছেন বাস চালকেরা। 

মোহাম্মদপুর থেকে রামপুরাগামী স্বাধীন বাসের চালক মনসুর আলী এ ব্যাপারে বলেন, ‘ঈদের সময় আমাগো একটু টাকা লাগব না? তাই দু-একজন বাড়তি যাত্রী তুলতে হয়।’ 

মে দিবস থাকায় এ দিন রাস্তায় ছিল না বিআরটিসির কোনো বাস। কিন্তু যাত্রীদের অনেকেরই বিষয়টি না জানা থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। মোহাম্মদপুর থেকে মহাখালীতে বোনের বাসায় ইফতার করতে যাচ্ছিলেন সিরিনা আখতার। মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে তিনি জানতে পারেন বিআরটিসির কোনো বাস চলছে না। মহাখালীগামী অন্য কোনো বাস না থাকায় সিএনজিতে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সিএনজিতে অত্যধিক ভাড়া চাওয়ায় শেষ পর্যন্ত একাধিকবার বাস বদল করার ঝুঁকি নিয়েই যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। 

এদিকে, রোববার রাজধানীর বিপণিবিতান এলাকাগুলো ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতে ক্রেতা সমাগম একেবারেই কম। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে সিংহভাগ মানুষ ঢাকা ছেড়েছেন। তাই বিক্রেতারাও এখন খুব বেশি বিক্রির আশা করছেন না। তাদের অনেকেই জানান, ঈদের মূল কেনাকাটা শেষ। দিনের বেলায় এখন একেবারেই ফাঁকা থাকছে দোকান। ইফতারের পর কিছু ক্রেতা আসছেন। 

নিউমার্কেট এলাকার জামাকাপড়ের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এখন তো আর তেমন মানুষ আসবে না। যা দু-একজন আসতেছে, এইটাও কম না। এবার যা বিক্রি হইছে ভালো হইছে। শেষ সময়ে এখন আর খুব বেশি বিক্রি হবে না।’ 

শহীদ জিয়ার কবরের পূর্ব পাশে খোঁড়া হচ্ছে নতুন কবর

খালেদা জিয়ার জানাজা: যেসব পথে নিয়ন্ত্রিত থাকবে যান চলাচল

রাষ্ট্রীয় শোক: ঢাকায় ৩ দিন আতশবাজি, পটকা ফোটানো নিষিদ্ধ

খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে বাড়ানো হলো মেট্রোরেলের ট্রিপ

হাদি হত্যা মামলা: সিবিউন-সঞ্জয়ের তৃতীয় দফায় রিমান্ড, ফয়সাল নামে আরও একজন রিমান্ডে

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাবিতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের কালো ব্যাজ ধারণ

রাজধানীর রামপুরায় অটোরিকশার ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যু

গয়েশ্বর চন্দ্রের আসনে বিএনপির বিদ্রোহী তিন বড় নেতাসহ ১৬ প্রার্থী, শক্ত লড়াইয়ের আভাস

খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে এভারকেয়ারের সামনে ভিড়, পুলিশের ব্যারিকেড

হারিয়ে যাওয়া কনাই নদ উদ্ধার উদ্‌যাপন