জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্র মারধর ও ছাত্রী হেনস্তার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার ও ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সায়েদুর রহমানকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমাদের ভিসি মহোদয় দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন কমিটিকে।’
এর আগে গত ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৌরভ দাশ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী।
সৌরভের অভিযোগ, চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হলে তাকে ১৫-২০ জন মিলে দফায় দফায় মারধর করে। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মেডিকেল সেন্টারে সেবা নিতে এসে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটির হয়। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে মারধর করেন তারা।
একই ঘটনার জেরে, সৌরভ দাশের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি এবং অসদাচরণের অভিযোগ এনে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ জমা দেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সামিরা মাহমুদ মিথি।
মিথি তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে যান। সেখানে সৌরভ তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন ও যৌন হয়রানিমূলক ইঙ্গিত দেন।